মৌলভীবাজারের বড়লেখার পৌরসভাটি কাগজে কলমে দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও কাজের মান তার উল্টো। পরিকল্পিত নেই কোন ড্রেনেজ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু জোরে বৃষ্টি হলে পৌরসভাবাসীর জন্য বৃষ্টির পানি অভিশাপ। বর্ষা মৌসুমে কয়েক দফা বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকে। রাতে বৃষ্টি হলে পৌরবাসীর ঘুম হারাম হয়ে যায়।
এছাড়া কুলাউড়া, বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বরইতলী, পানিধার নামক স্থানে পানি উঠে কয়েক ঘণ্টা যোগাযোগ থাকে বন্ধ। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
বড়লেখা পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরমেয়র প্রায় ২ বছর আগে নিকড়ি ছড়া ও ষাটমা ছড়া খালটি খনন করেন। ছড়া দুটি খনন করা হলে ও পৌরবাসীর জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি।
অনেকগুলো রেকড়ি ছোট, ছোট ছড়া ও নালা বন্ধ করে অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবার অনেকে বাসা বাড়ির সামনের ছড়া বন্ধ করেন। তার ফলে পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ লোকজনের বৃষ্টির পানি অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৌরসভার হাটবন্দ, উত্তর চৌমুহনী থানার নিকটবর্তী এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হলে পানি নিমজ্জিত থাকে অধিকাংশ বাসা বাড়ি ও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মারাত্মক ক্ষতি হয়।
ভৌগলিক দিক দিয়ে মৌলভীবাজার জেলাটি পাহাড়ি এলাকা বড়লেখার পূর্ব দিক দিয়ে পাহাড় টিলা ভূমি মধ্য খানে সমতল, পশ্চিম দিকে হাকালুকি হাওর।
পৌরসভার পরিকল্পনার অভাবে ভূমির মালিকরা যার যার ইচ্ছা মত সরকারি নালা ভরাট করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করেন। এর ফলে বৃষ্টি হলে মারাত্মক ক্ষয় ক্ষতি হয়। কাঁঠাল তলী বাজারের পশ্চিমে কুলাউড়া শাহবাজপুর রেললাইনে পানি নিষ্কাশনের জন্য ৭ ফুট একটি ফাইভ রয়েছে। এটি আকারে ছোট হওয়ায় অতিবর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে কাঁঠাল তলী বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মারাত্মক ক্ষতি হয়।
বর্তমানে রেলের কাজ চলমান যদি রেললাইনের ফাইভকে ৭ ফুট থেকে ৩০ ফুটে রূপান্তর করা হয়। এছাড়া কাঁঠালতলী রেলের পশ্চিমে পুরাতন নিকড়ি ছড়া খালটি খনন করা হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
পৌরমেয়র আবু ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, যেসব ব্যক্তিরা পানি নিষ্কাশনের ছড়া বন্ধ করেছে এগুলো খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। রেলের ৭ ফুট ফাইভকে ৩০ ফুটে রূপান্তর ও পুরাতন নিকড়ি ছড়া খালটি খনন করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জোরালো দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
টিএইচ